বিশেষ প্রতিনিধি- কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় বালু সন্ত্রাসী ও নৌ ডাকাত রবি,বারেক গাফফার গংদের দৌরাত্ব যেন থামছেনা
বালুচুরির অবৈধ কাঁচা টাকার ঝনঝনানিতে অস্ত্রের আওয়াজ চাঁপা পড়ে যায়। তাই অবৈধ ড্রেজারের আওয়াজ নেতা ও প্রশাসনের কানে পৌঁছায় না। কানে পৌঁছায় না অসহায় কৃষকের ফসলি জমি ও বাড়িঘর নদীতে বিলীন হওয়ার শব্দ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ নেতাদের কানে রুমুরঝুমুর নৃত্য হয়ে বাঁজে। সভাসমাবেশে বালু কাটা বন্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিলেই রাতে বেড়ে যায় ড্রেজারের সংখ্যা।
তারা জানে বালু কাটা বন্ধ হলে তাদের পাতে ভাত উঠবে না, সমাবেশের মঞ্চ তৈরি হবে না, মিটিং মিছিলে লোক আসবে না, রাতের আঁধারে কেউ টাকা নিয়ে আসবে না আর টাকা না হলে তার রাজনীতি চলবে না। বালু কাটার টাকার ভাগ যেখানে হাই প্রোফাইলের নেতাদের পকেটে চলে যায়, সেখানে বন্ধ হওয়ার তো কোন সুযোগ নেই। বিগত সরকারের আমলের চেয়ে বহুগুণ ভয়ংকর রূপ নিয়ে নদীতে নেমেছে নলচরের বালু সন্ত্রাসী ও নৌ ডাকাতরা। কয়েকদিন আগেও অটোরিকশা, বেবিট্যাক্সি না চালালে, নদীতে মাছ না ধরলে যাদের খাবার জুটতো না, মাত্র ১০মাসের ব্যবধানে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। নিয়ন্ত্রণ নিতে কয়েকদফা বল্লভ যুদ্ধে পৈচাশিক উম্মাদনায় মেতেছে, আক্রমন চালিয়েছে সেনাবাহিনীর উপর। নেতাদের আশির্বাদে তাদের একটা পশমও ইলেনি। তবে তারা কেন বন্ধ করবে বালু উত্তোলন? প্রতি রাতে ২২ টা ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে প্রায় ২০০ শত বাল্কহেড লোড করে। গড়ে ১ লাখ টাকা হলে ২ কোটি টাকা আমদানি হয় তাহলে সেই সোনার ডিমপাড়া হাঁস কে মারতে চায়। তবে একক নিয়ন্ত্রন ও আধিপত্য ধরে রাখতে বিএনপির এক অংশকে বাদ দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে। রাজনীতির মাঠে দ্বন্দ্ধ থাকলেও চাঁদাবাজি, বালুকাটা ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের বেলায় দলমত নেই।
গোপন সুত্রে জানতে পারলাম, নলচরের বালুর টাকা নলচর, মেঘনা, তিতাস ও কুমিল্লা হয়ে সোনারগাঁয়ের বিএনপির নেতা এবং কিছু মিডিয়ার অপসাংবাদিকদের পকেট ভারি করছে। (বিঃ দ্রঃ ভিডিওটি পূর্বে ধারনকৃত)
মেঘনার বিএনপি নেতা দেলোয়ারের পোষ্ট নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আর্কষণ করলে দল ও দেশের জন্য অবশ্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরলাম:-
মেঘনা উপজেলা বিএনপির সুনাম নষ্ট হচ্ছে বর্তমানে ভোট কমতেছে অন্যতম কারণ রামপ্রসাদের চর অবৈধ বালু উত্তোলন। প্রশাসন নিরব, নেতা সাংগঠনিক নিয়মে বহিষ্কার না করে তাদের নিয়ে পথ চলছে। এমতাবস্থায় রামপ্রসাদের চর গ্রামবাসী জেগে উঠেন শহরের সবাই গ্রামে আসেন আর নয় প্রতিবাদ গড়ে তোলেন প্রতিরোধ ওরা সংখ্যায় বেশি নয় ভিটে মাটি রক্ষায় রুখে দাঁড়ান আমি লোকজন নিয়ে পাশে থাকবো আরও অনেকেই পাশে থাকবে আপনারা সংগ্রামী হন হাজার বছর শিয়ালের মতো না বেঁচে বাঘের গর্জন দিন। ঢাকা প্রেসক্লাব মানববন্ধন করেন, কুমিল্লা ডিসি অফিস, এসপি অফিসের সামনে লোকজন নিয়ে মানববন্ধন করেন পত্র পত্রিকা টেলিভিশন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর নিকট তুলে ধরেন। তখন আমাদের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব এর নজরে আসবে আমার বিশ্বাস চিরতরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।